রোহিঙ্গা সহযোগীদের সহায়তায় প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে জিহাদে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল আল কায়েদা ও তালেবানপন্থী ৬ জঙ্গি।
সোমবার (২ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) এর সাব-ইন্সপেক্টর (নি.) রফিকুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলো- আব্দুর রব, সাকিব, শামীম হোসেন, নাদিম শেখ, আবছার ও সাইদ উদ্দিন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করে তারা সকলেই রোহিঙ্গা সহযোগীদের সহায়তায় প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে জিহাদে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। যা দেশের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন বা অস্বীকার করার শামিল। তাছাড়া তারা আল কায়েদা ও টিটিপি এর সদস্যদের মদদে ও সহায়তায় বাংলাদেশে খিলাফত শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে জিহাদ করার জন্য প্রশিক্ষণের উদ্দেশে টেকনাফে হিজরত করেছিল বলেও স্বীকার করে।
আবেদনে বলা হয়, তারা দেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে-বিদেশে জিহাদে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করে এবং আল কায়েদা ও টিটিপির সদস্যদের মদদে ও সহায়তায় বাংলাদেশে খিলাফত শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিহাদ করার জন্য প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে টেকনাফে হিজরত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণ বা জনসাধারণের কোন অংশের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কোনো সম্পত্তির ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করে বা ষড়যন্ত্রে প্ররোচিত করে। আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী জঙ্গি সংস্থাকে বর্ণিত কার্যাদি সংগঠনের জন্য প্ররোচিত ও ষড়যন্ত্র করে, উপরোক্ত অপরাধ সংগঠনের সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র ও প্রচেষ্টা গ্রহণ করে এবং উল্লেখিত অপরাধ সংগঠনের জন্য সাহায্য, সহায়তা, ভিডিও-অডিও ও অন্যান্যভাবে প্ররোচিত করে এবং আশ্রয় দান করে আসছিল।
আসামিদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করার লক্ষে অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড, ফেসবুক খোলার কাজে ব্যবহৃত অন্য সিম, ই-মেইল এবং তার অন্য কোনো ফেক ফেসবুক আইডি আছে কিনা তার নাম, পাসওয়ার্ডসহ উদ্ধার, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তাদের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে, রোববার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল, চট্টগ্রাম ও টেকনাফ থেকে ওই ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।
পাঠকের মতামত